জাতীয় ফুটবল দলের আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে তেমন সাফল্য নেই। আন্তর্জাতিক ক্লাব পর্যায়ে বাংলাদেশের দুই ক্লাব ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছে। এর ফলে ক্লাব পর্যায়ে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে। এতে এশিয়ার ক্লাব পর্যায়ের শীর্ষ স্তর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এএফসি কাপে বিভিন্ন দেশের কোটা বণ্টন তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশের একটি কোটা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এশিয়ার শীর্ষ ক্লাবের লিগে বাংলাদেশের ক্লাব সরাসরি খেলতে পারবে না। প্লে-অফে জিতে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে। দুই মৌসুম আগে ঢাকা আবাহনী এএফসি কাপের সেমিফাইনালের জোনাল প্লে অফ খেলেছে। এজন্য বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়েছে অনেক। বসুন্ধরা কিংস মূল পর্ব থেকে নক আউটে যেতে না পারলেও তারা মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে এএফসি কাপে। এতেও বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং বাড়তে সহায়তা হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটি প্লে অফ কোটার পাশাপাশি দ্বিতীয় স্তর এএফসি কাপে দু’টি কোটা রয়েছে। সেখানে একটি ক্লাব সরাসরি মূল পর্বে খেলবে আরেকটি ক্লাব প্লে অফে খেলে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে। ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশের তিনটি ক্লাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাংলাদেশের কোন ক্লাব প্রতিনিধিত্ব করবে সেটা নিয়ে এখন খানিকটা সংশয়ে রয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ‘এখন আমাদের একটি লিগ চ্যাম্পিয়ন রয়েছে। ২০২৩ সালে আগস্ট যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু হবে। তখন আমাদের আরেকটি মৌসুম শেষ হওয়ার পথে থাকবে অথবা শেষ হয়ে যাবে। ফলে কোন বছরের চ্যাম্পিয়ন দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে সেটা নিয়ে আমরা লিগ কমিটির সভায় আলোচনা করব।’
এএফসি কাপের মূল পর্বে লিগ চ্যাম্পিয়ন দল খেলেছে আর ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলেছে প্লে অফ। লিগ ও কাপের চ্যাম্পিয়ন একই দল হলে সেক্ষেত্রে প্লে অফ খেলেছে লিগের রানার্স আপ দল। ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশ তিনটি স্লট পাওয়ায় এএফসি’র নির্দেশনার অপেক্ষায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা, ‘এএফসি দু’টি টুর্নামেন্টের জন্য একটি নির্দেশনা সব দেশকেই পাঠাবে। এরপরও আমাদের কোনো সংশয় এবং অস্পষ্টতা থাকলে আমরা এএফসি’র কাছে জিজ্ঞেস করব’–বলেন সাধারণ সম্পাদক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এএফসি কাপ খেলা দেশগুলোতে সাধারণত লিগ চ্যাম্পিয়ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে। কাপ চ্যাম্পিয়ন দলটি খেলে এএফসি কাপের প্লে অফ এবং লিগের রানার্স আপ খেলে এএফসি কাপের মূল পর্বে। লিগ ও কাপ চ্যাম্পিয়ন একই দল হলে সেই দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, রানার্স আপ দল এএফসি কাপের মূল পর্ব ও কাপ রানার্স আপ খেলে প্লে অফ।