জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আজ রোববার (১৮ মে) নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, দেশে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেছে এ সরকার নয় মাসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। যে অধিকার, দাবির জন্য আমরা রাজপথে লড়াই করেছি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছি, সফলতা অর্জন করেছি; সেই সফলতাকে ম্লান করে দিয়েছে সরকার।
সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, আপনার কাছে পাওয়ার কিছুই নাই। সংসদ সদস্য, ঠিকাদারি, লুটের টাকার ভাগ চাই না। আমরা একটা জিনিসই চেয়েছি যারা শেখ হাসিনার আমলে রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে; আমার নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন, আমাদের সবার দাবি এদেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের জন্য আপনাকে (ইউনূস) সরকারে বসিয়েছে। কোন দিন নির্বাচন দিবেন তা বলে দিতে অসুবিধা কোথায়? আমার মনে হয় সরকার নির্বাচন দিতে বিলম্বিত করছে কারো কারো শক্তি সমর্থন জোগাড় করার জন্য। এসব তালবাহানা এদেশে চলবে না। আমরা ভেসে আসি নাই।
বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তাই আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু এই ধৈর্যের ফল যদি হয় নির্বাচন বিলম্বিত তাহলে সেই ধৈর্যের বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলব। মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তখন যদি আমাদেরকে থামতে বলে আমরা থামব না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই; যদি সময়মত নির্বাচন দেওয়া না হয়।
ফারুক আরও বলেন, গতকাল মিডিয়াতে দেখলাম দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। এখনতো হাসিনা নাই এগুলো কে পাচার করল। আমরা তো প্রতিদিনই বলি হাসিনার দোসরদের আইনের আওতায় আনা হোক।
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। বিশ্বের দরবারে সম্মান অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে আপনজন ভেবে সরকারে বসিয়েছে। দেশের জনগণের সম্মানের ক্ষেত্রে আপনাকে এখনই এই মুহূর্তে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমাসহ প্রমুখ।