দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। চলতি বছরের আগস্টে মাসে এ ঋণ প্রবৃদ্ধি উঠেছে ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে। যা আগের মাস জুলাই শেষে ছিল ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঋণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং নতুন করে কিছু বিনিয়োগসহ বিভিন্ন কারণে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। যা তার আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
তবে সাম্প্রতিক ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে মুদ্রানীতিতে প্রাক্কলন কিছুটা কমানো হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ছে। এতে অনেকেরই আশা যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, তাতে প্রাক্কলনের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হতে পারে।
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে সব পর্যায়ে খরচ বেড়েছে। এখন নতুন করে অনেকে আবার বিনিয়োগ করছেন।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই গত এপ্রিল মাসে চলতি মূলধন খাতে বিদ্যমান ঋণসীমা বাড়ানোর সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকও নির্দেশনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য এ নির্দেশনা কার্যকর করতে বলেছে।
গত জুলাইয়ে কিছু পণ্য আমদানিতে ৭৫ থেকে শতভাগ এলসি মার্জিন নির্ধারণ এবং এসব পণ্যে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এতেও ঋণ বেড়ে আগস্টে স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস জুলাইয়ে ছিল ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৬ কোটি।
খাত সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বিগত কয়েক বছরে বিনিয়োগ চাহিদা কিছুটা কমেছে। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এক অঙ্কে (৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে) নেমে আসে। করোনার প্রভাব শুরুর পর তা আরও কমে ২০২০ সালের মে শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।