উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল আজ। মুখোমুখি হবে দুই জায়ান্ট ফ্রান্স ও স্পেন। কাগজ-কলমের শক্তির বিচারে তারুণ্য নির্ভর স্পেনের বিপক্ষে ফেভারিট ফ্রান্স। তবে ইতালিকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী লুইস এনরিকের দল। ইতালির সান সিরোতে এই মহারণ শুরু হবে রাত পৌনে একটায়। আর সন্ধ্যা ৭টায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে ইতালি ও বেলজিয়াম।
ইনিয়েস্তা, জাভি, পুয়োলরা অবসর নিয়েছেন। ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী সেই স্প্যানিশ দলের ধার আর আগের মতো নেই। কিন্তু ফেরান তোরেস, আনসু ফাতি, পেদ্রির মত তরুণদের প্রাধান্য নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গঠনে কাজ করছে স্পেন। যাদের কাঁধে ভর করেই নেশন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছে লা রোহা ফিউরিরা। ইউরো জয়ী ইতালিকে সেমিতে হারিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছে এনরিকের দল। তবে ইনজুরিতে মোরাতা আর জেরার্ড মরেনোর অনুপস্থিতি টের পাবে দল। তবে নাম্বার নাইন ছাড়াও মানচিনির ইতালিকে বিদায় করেছিল এনরিকের মাস্টারক্লাস কৌশল।
লুইস এনরিকে বলেন, ব্যক্তি ফুটবলার হিসেবে বিচার করলে ফ্রান্স এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দল। ক্লাব ফুটবলেও আধিপত্য আছে ফ্রান্সের তারকাদের। তাই ফাইনাল জিততে মাঠে আমাদের পুরো দলকেই শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলতে হবে। এটাই একমাত্র কৌশল। কিলিয়ান এমবাপ্পে, গ্রিজমান, পগবা, ভারানের মতো তারকাদের নিয়ে বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্স কারিম বেনজেমার প্রত্যাবর্তনে হয়েছে আরও পরিণত। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিয়ে ফ্রান্স দেখিয়েছে শিরোপার ক্ষুধাটা এখনও কমেনি দিদিয়ের দেশমের দলের।
ফ্রান্স শিবিরে দুশ্চিন্তার নাম করোনা। এনগোলো কন্তের পর কোভিড আক্রান্ত হয়ে দলের বাইরে মিডফিল্ডার রেবিও। সেই সাথে স্পেনের বিপক্ষে অতীত পরিসংখ্যান সাবধানী করছে ব্লুদের। আগের ৩৫ দেখায় ফ্রান্সের ১২ জয়ের বিপরীতে ১৬টি ম্যাচ জিতেছে স্পেন। তবে দুই দলের সবশেষ দেখায় ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশম বলেন, এটা সত্যি আমাদের ফুটবলাররা বেশি অভিজ্ঞ। কিন্তু জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট নয়। মাঠে আপনাকে ভালো পারফর্ম করতে হবে। আর ফাইনালে সেটাই একমাত্র লক্ষ্য আমাদের। নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে ট্রফির সাথে পাবে প্রায় ১০৩ কোটি টাকা। আর রানারআপ দল পাবে ৮৯ কোটি টাকা।