আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব । ২০২০ সালে শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থাকলেও মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত করা হয়। করোনা পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসায় আগামী ১ ডিসেম্বর বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উৎসবের উদ্বোধন হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই লোটে শেরিং ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশাল প্যান্ডেল করে মঞ্চ নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। সময় বেশি না থাকায় দিনরাত্রি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন শ্রমিকরা।
নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও শতবর্ষের ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি এ কে আজাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল স্বাগত বক্তব্য দেবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরকে বিশেষ স্যুভেনির দেবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ওই দিন বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলোচনাসভা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
উৎসবের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও (২ ডিসেম্বর, ৩ ডিসেম্বর ও ৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে খ্যাতিমান শিল্পীদের ‘কনসার্ট’ পরিবেশনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি হবে।