চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সব বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উহানে নতুন করে স্থানীয়ভাবে সাতটি কেস শনাক্ত হয়েছে। গত এক বছরের বেশি সময় পর এমন ঘটনা ঘটল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর প্রায় এক বছর ধরে কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বেইজিং। কিন্তু নতুন করে আবারও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
উহানের ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার প্রত্যেককে এখন করোনা পরীক্ষার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে চীনে আশঙ্কাজনক হারে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। গত ১০ দিনেই দেশটিতে নতুন ৩শ কেস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চীনের ডজনখানেক প্রদেশ এবং ২০টির বেশি শহরে ইতোমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।
সে কারণেই রাজধানী বেইজিংসহ অন্য বড় শহরের স্থানীয় সরকার তাদের লাখ লাখ বাসিন্দার গণহারে করোনা পরীক্ষা করছে। এছাড়া লকডাউন এবং কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
ইতোমধ্যেই দেশটির হুনান প্রদেশের কেন্দ্রীয় ঝুঝোউ শহরে সোমবার ১২ লাখ বাসিন্দাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের জন্য ওই শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সময়ে সময়ে গণহারে লোকজনের করোনা পরীক্ষা এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো হবে।ঝুঝৌ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ এবং জটিল।
এদিকে, মঙ্গলবার নতুন করে চীনে ৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরই উহানের সব মানুষের গণহারে করোনা পরীক্ষার ঘোষণা দেয়া হয়। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয়ভাবে ৬১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। একদিন আগেই এই সংখ্যা ছিল ৫৫।