সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে গত ২৫ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি যৌথ সভা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা নগদের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রথমে গোপন পিন নম্বর জেনে নেন। পরে শিক্ষার্থীদের টাকা তুলে নিয়ে প্রতারকেরা মুঠোফোন নম্বর বন্ধ করে দেন। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল নগদের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি। মামলার বাদী ও নগদের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নগদকে এই প্রতারণার কথা লিখিতভাবে জানানো হয়। পরে নগদের অনুসন্ধানেও উঠে আসে এ প্রতারণার বিষয়। ইতিমধ্যে প্রতারকদের ১৪৩টি মুঠোফোন নম্বর শনাক্ত করা হয়েছে।
নগদের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করছিল গুলশান থানা-পুলিশ। তবে তারা কাউকে ধরতে পারেনি। পরে মামলাটির তদন্তভার পায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তবে তারাও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (আইন) এস এম তারিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় জেলায় অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলাও হয়েছে।