বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত কাকরাইল মোড় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে চলছে অবস্থান কর্মসূচি। সকাল থেকে মিছিল ও স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাকরাইল-মৎস্য ভবন এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল মোড় থেকে যমুনা ফিউচার পার্কমুখী রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে এক দফা দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। এদিকে মৎস্য ভবনের দিকেও মিছিল নিয়ে অবস্থান নিয়েছে আরেকদল সমর্থক। মিছিলগুলো ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হলেও স্লোগান একটাই—‘উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই।’
এর ফলে পুরো কাকরাইল-মৎস্য ভবন এলাকা যান চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে পড়েছে। অফিসগামী ও সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। অনেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে বিকল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
গতকাল (২১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনরত কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সেখানে তিনি ঘোষণা দেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা—আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন।
এদিকে বিক্ষোভের কারণে কাকরাইল এলাকায় মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে গত ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে এখনও তার শপথ গ্রহণ হয়নি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখন সরকারের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনের ধারাও পাল্টে গেছে। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।