ফোন কলে পরিচয়, অতঃপর নিখোঁজ। এ ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়রিসহ অপহরণ মামলাও হয়। পরে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রীকে ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তারা মিয়া (৩৩) ও মুনীর হোসেন (২৯) নামের দুজনকে গ্রেফ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতার তারা মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার জরজরিয়া গ্রামের মৃত রবিউল্লাহর ছেলে ও মুনীর হোসেন একই জেলার ইসলামপুরের উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। তারা মিয়াকে (১০ ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকেলে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে এবং রাতে মুনীর হোসেনকে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজন বন্ধু।
বুধবার সকালে রেনুকা খাতুন (১১) ও ফারজানা শিলা আক্তার (১২) নামের দুই স্কুলছাত্রী গাইবান্ধার বাদিয়াখালী থেকে নিখোঁজ হয়। রেনুকা গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবড়ুল গ্রামের ইসহাক আলীর মেয়ে ও পলাশবাড়ীর তালুকজামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন ফারজানা আক্তার শিলা একই এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। সে পলাশবাড়ীর ভেলাকোপার সূর্যবিদ্যা নিকেতন স্কুলের একই শ্রেণির ছাত্রী। তারাও বান্ধবী।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, তিনমাস আগে ফারজানা আক্তার শিলার সঙ্গে রং নম্বরের মাধ্যমে মুনীর হোসেনের কথা হয়। পরে এর সূত্র ধরে শিলার বান্ধবী রেনুকার সঙ্গে মুনীর হোসেনের বন্ধু তারা মিয়ারও কথা হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ৮ ডিসেম্বর তারা দুজন বাদিয়াখালী থেকে নিখোঁজ হলে ৯ ডিসেম্বর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি এবং রেনুকার চাচা বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেন।
তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে রেনুকাকে উদ্ধারসহ তারা মিয়াকে গ্রেফতার এবং একই অভিযানে রাত ২টার দিকে কুমিল্লা জেলার লাকসাম এলাকা থেকে শিলা আক্তারকে উদ্ধার করে মুনীর হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার বিকেলে আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।