রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের কমিটি পেঁয়াজ রফতানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলির বিষয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের বিশাল মজুদ জমে যায়। ফলে দেশটি বাধ্য হয় আবারও পেঁয়াজ রফতানি শুরু করতে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা। তাদের আশা এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পাওয়া যাবে নিত্যপণ্যটির।
নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সংকটের কথা জানিয়ে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা থাকলেও তা থেকে সরে এলো দেশটি।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভারতের পেঁয়াজ রফতানির ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশে আমদানিকারকদের মধ্যে। দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ ও চিনি ভারত থেকে আমদানি করতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দরে উদ্ভিদ গণনিরোধ বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি এই দুটি পণ্য পবিত্র রমজান মাসের আগেই আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রমজান মাসে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা এই তথ্য শোনার পর সোমবার সকাল থেকেই ভারতীয় আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যোগাযোগ শুরু করছেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা এই দুটি পণ্য আমদানি করে দেশের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবেন।