বিশ্বজুড়ে উন্মুক্ত করা হয়েছে মাইক্রোসফটের কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১। তবে বিগত কয়েকটি সংস্করণের মতো এই উইন্ডোজে আগে থেকেই ইন্সটল (প্রি-ইন্সটল) থাকছে না ভিডিও চ্যাটের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্কাইপি। বরং স্কাইপির বদলে থাকছে আরেক ভিডিও কলিং অ্যাপ মাইক্রোসফট টিমস।
মাইক্রোসফটের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উইন্ডোজ ১০ এর বদলে কম্পিউটারগুলোতে চলে আসবে উইন্ডোজ ১১। উইন্ডোজ ১০ সহ আগের বেশ কয়েকটি সংস্করণে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) এর সাথে ‘ডিফল্ট প্রি-ইন্সটলড’ হিসেবে থাকতো স্কাইপি। তবে এবার আর স্কাইপি’কে প্রি-ইন্সটলড অ্যাপ হিসেবে রাখছে না মাইক্রোসফট। বরং জুমের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেড়ে ওঠা মাইক্রোসফট টিমস থাকছে উইন্ডোজ ১১ এ। তবে উইন্ডোজ ১১ এর অ্যাপ স্টোর থেকে ব্যবহারকারী চাইলে স্কাইপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
২০০৩ সালে স্কাইপির প্রথম সংস্করণটি বাজারে আসে। এরপর ২০১১ সালে সাড়ে আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারে স্কাইপি কিনে নেয় মাইক্রোসফট। এরপর থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করলে ডিফল্ট হিসেবে স্কাইপি ও ইন্সটল হয়ে যেতো। অবশ্য ব্যবহারকারী চাইলে সেটিকে পরে আন-ইন্সটল করতে পারতেন।
এদিকে ফেসবুকের মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম অডিও-ভিডিও কলিং সুবিধা নিয়ে আসলে জনপ্রিয়তা কমতে থাকে স্কাইপির। এমনই সময়ে ২০১৭ সালে অডিও-ভিডিও কলিংয়ের পাশাপাশি মিটিং করার সুবিধা নিয়ে চালু হয় মাইক্রোসফট টিমস। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় আবারও ব্যবহারকারী বাড়তে থাকে স্কাইপির। সেসময়ে স্কাইপি ব্যবহারকারীর হার ৭০ শতাংশ বেড়ে গড়ে দৈনিক চার কোটিতে পৌঁছায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মাইক্রোসফটের এমন পদক্ষেপ দেখে আইটি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, টিমস প্ল্যাটফর্মটিকেই আরও জনপ্রিয় করতে স্কাইপি’কে ডিফল্ট তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে মাইক্রোসফট। গেল বছরের সেপ্টেম্বরেও, মাইক্রোসফট মালিকানাধীন লিংকড ইন এ ভিডিও মিটিং সুবিধা চালু করা হয়। তবে সেটির জন্য স্কাইপি নয় বরং টিমসের ফিচার ব্যবহার করা হয়।