মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে বনানীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৬০টি দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ২৮টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ২০টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, একটি বেসরকারি সংগঠন আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদেরকে পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ১১-২৩ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএ’র তথ্য থেকে ৩২জন বেশি; যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিআরটিএ উল্লেখ করেছে— হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা; অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতিতে মোটরযান চালানো; ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে মোটরযান চালানো; মোটরযান চালক কর্তৃক অসতর্ক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেকিং করা; পথচারীর অসাবধানতা এবং যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করা; মোটরযান চালনার সময় অসাবধানতায় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা; মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য অবৈধ বাহন চলাচল; মোটরযান চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথ অনুসরণ না করা; চালকদের ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং ইত্যাদি মেনে না চলা এবং পার্শ্ব সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় চালকের অসাবধানতা।