গত রমজানের ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে জামা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় রাকিবুল হাসান বাবু (২২) নামে এক যুবক। এরপর পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পায়নি। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুর পাড় থেকে মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাকিবুল ইসলাম বাবু শরীয়তপুরের পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে। রাকিব শহরের সিদ্দিক কসাইর মাংসের দোকানে শ্রমিকের কাজ করত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের জামা কেনার উদ্দেশ্যে রাকিব তার বন্ধু জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমনের ডাকে গত ২৫ রমজানের (১৭ এপ্রিল) ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও রাকিব বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর বিলাশ খান গ্রামের চৌকিদার বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুর পাড়ে কয়েকজন শিশু খেলতে গিয়ে হাড়গোড় দেখতে পায়। এরপর শিশুরা ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে হাড়গোর উদ্ধার করে। হাড়গোর উদ্ধার করলেও পুলিশ মরদেহটির মাথা খুঁজে পায়নি। উদ্ধারের সময় হাড়গোরের পাশে একটি জার্সি ও মোবাইল দেখে রাকিবের পরিবার তার মরদেহ বলে শনাক্ত করে।
রাকিবের বোন নোহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাই কী দোষ করেছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে। যারা আমার ভাইকে মেরেছে, তাদের বিচার চাই।
নিহত রাকিবের বাবা নুর ইসলাম মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলেকে মার্কেট করার কথা বলে ডেকে নিয়ে জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমন মেরে ফেলেছে। দীর্ঘদিন আমি পথে প্রান্তরে আমার ছেলেকে খুঁজেছি। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাড়গোড়ের পাশে পাওয়া একটি জার্সি দেখে নুরুল ইসলাম নামে একজন দাবি করেছেন মরদেহটি তার ছেলের। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিচয় জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।