করোনার কারণে টানা দুই বছর ঘরবন্দী ঈদ পালন করতে হয়েছে। নানা বিধিনিষেধের ফলে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনি মানুষ। প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরেও বেড়াতে যান অনেকে। মহামারির কারণে দুই বছর সেটি বন্ধ ছিল। তবে এবার কোনো বিধিনিষেধ থাকায় ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দেশের বাইরে বেড়াতে গেছেন অন্তত ১০ লাখ মানুষ। অবশ্য এ বিষয়ে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দেশের বাইরে যারা বেড়াতে গেছেন তার সংখ্যা কমপক্ষে ১০ লাখ হবে। এরমধ্যে বেশি পর্যটক গেছেন ভারতে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে থেকে বেশিরভাগ পর্যটক আশেপাশের দেশেই বেড়াতে যান বেশি। খরচ কম হওয়ায় পছন্দের তালিকায় প্রথমেই আছে ভারত। এরপর নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, তুরস্ক। ঈদের আগে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসে ভিসা আবেদনকারীদের ভিড় ছিল অনেক
প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি ভারতের ভিসা নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ী বলছেন, স্থলপথে ভারতে যাওয়া যায়। ভিসা পাওয়াও সহজ। এ কারণে ভারতগামী পর্যটক বেশি। তবে ঈদকে ঘিরে এবার ফ্লাইট বাড়েনি। ফলে বিদেশগামী পর্যটকের সংখ্যা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে কতজন বিদেশে যাচ্ছেন কিংবা কী পরিমাণ পর্যটক দেশে ভ্রমণ করেন তার সঠিক হিসাব দেশে নেই। তাই পর্যটন নিয়ে পরিসংখ্যান জরুরি বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম কাদির গণমাধ্যমকে জানান, নিজ দেশে ঘোরাঘুরির বাইরে একটু লম্বা ছুটি পেলে বিদেশও যান অনেক মানুষ। এখন আর শুধু ধনীরা নয়, সব শ্রেণির মানুষই বিদেশ ভ্রমণ করছেন। বাইরে বেড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করে টাকা জমান অনেকে।
আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হোসেন ইমন বলেন, আমাদের দেশে বেড়ানোর অনেক জায়াগা আছে। তবে সব জায়গা এখনও পর্যটকবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এ কারণেও মানুষ বিদেশমুখী। তিনি আরও বলেন, নিজের দেশে ভ্রমণের পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের আগ্রহ থাকা অস্বাভাবিক নয়। এ বছর ঈদ ভ্রমণে পর্যটনে প্রাণও ফিরছে। তবে করোনার কারণে দুই বছরে যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে এ খাতের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে।