বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংখ্যা ৪৯৩ জন। শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই (পঙ্গু হাসপাতালে) ঈদের তিন দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৪ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এই বাস্তবতায় ১৫ দিনে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে আহত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি হবে। নিহতের মধ্যে নারী ৬৩, শিশু ৭৪।
দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের তথ্য তুলে ধরা বলা হয়, ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৬ হয়েছেন জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫১ দশমিক ১১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৬৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন, অর্থাৎ ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই সময়ে ৩টি নৌ–দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। ১৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, অতিরিক্ত গতির কারণে সবগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশের সড়ক অবকাঠামোর নকশাগত ত্রুটির কারণে মহাসড়কে স্বল্পগতির থ্রি–হুইলার চলাচল যেহেতু বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না, সেহেতু মহাসড়কে কিছু দূর পরপর ফিতা টাঙিয়ে হলেও অস্থায়ীভাবে সার্ভিস রোড করে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো; চালকদের বেতন–কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; পরিবহন মালিক–শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ কিছু পরামর্শ দিয়েছে রোডে সেফটি ফাউন্ডেশন।