দেশের ছয় জেলা থেকে ছয় নারী উদ্যোক্তাকে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তার গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের জীবন-জীবিকার উপর করোনার প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করবেন তারা। ফেলোশিপ অর্জনকারী নারী উদ্যোক্তারা হলেন- নারগিস আক্তার (রংপুর), হাফিজা আক্তার রানী (ময়মনসিংহ), শারমীন আক্তার (সিলেট), নিবেদিতা পাল (বরিশাল), জেরিন সুলতানা তনিকা (ঢাকা) ও উম্মুররেদা (খুলনা)।
তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ই-সেবী এন্টারপ্রাইজেস ও স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চালু করেছে ওই গবেষণা উদ্যোক্তা ফেলোশিপ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের ই-সেবী এন্টারপ্রাইজেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রামীণ বাংলাদেশের স্থানীয় গবেষণা সহায়কের (আরএ) নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা ও পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণা সহায়কদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এ ফেলোশিপের মূল লক্ষ্য।
ফেলোশিপের আওতায় প্রথম ধাপে দেশের ছয়টি বিভাগ থেকে ছয় নারী উদ্যোক্তাকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ই-সেবীতে অতীত অবদান, গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও মন-মানসিকতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ভৌগোলিক অবস্থান, লেখালেখি ও যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনায় ই-সেবী কর্তৃপক্ষ ছয় নারী উদ্যোক্তা নির্বাচন করেছে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের ই-সেবী এন্টারপ্রাইজেস ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে গবেষণা সহকারীদের গবেষণা দক্ষতার ভিত্তি মজবুতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে তারা গবেষণা সহযোগী সংস্থার প্রকল্পগুলোতে অংশ নিতে পারে।
এ ফেলোশিপের মাধ্যমে নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তারা ছয় মাস মেয়াদে ই-সেবী পরিচালিত ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন। মাঠপর্যায়ে গবেষণার বাস্তব কাজ করে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন। এছাড়াও সফলভাবে প্রকল্প সমাপ্তির পর পাবেন সম্মানী, ক্রেস্ট ও সনদ।