প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির তারিখ দিয়ে আজ সোমবার এ গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর ফলে রাষ্ট্রপতি এই আইন অনুযায়ী এখন যেকোনো সময়ে সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন । এর আগে সংসদে বিল আকারে পাস হওয়া এ আইনে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন। গত ২৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে বিলটি পাস হয়।
এর আগে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি দুটি সংশোধনী এনে পাসের সুপারিশ করলে ধারা দুটি সংশোধন করে বিলটি পাস হয়। এ ছাড়া পাসের প্রক্রিয়ায় বিলে বিরোধী দলের সদস্যদের আনা সংশোধনী প্রস্তাব থেকে ২২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়।
পাস হওয়া বিলে সার্চ কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন, এমন বিধান রাখা হয়েছে। সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করবেন। প্রথমে বিলটির নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হয়েছে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন-প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে।
আইন অনুসারে যোগ্যতা বিবেচনা করে কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। সেই দশ জনের মধ্য থেকেই পাঁচ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন । আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।