বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে আরবি ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জাতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি বিনিময় নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না।’
হামাস ছাড়াও গাজার আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের হাতেও কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে এখন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় অংশ নিতে গতকাল মিসরে আসেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তবে ওই আলোচনায় কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। হামাস একাধিকবার বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতির কোনো চুক্তি তারা করবে না।
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর গত ২৪ নভেম্বর দুই পক্ষ প্রথমবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। যা সাতদিন স্থায়ী ছিল। এই সাতদিনে হামাস ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। ধারণা করা হয়, ফিলিস্তিনি এ গোষ্ঠীর হাতে এখনো ১২০ ইসরায়েলি আটক রয়েছেন।
তবে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দখলদার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, হামাসকে নির্মূল ও সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার আগে যুদ্ধ বন্ধ করলে সেটি ইসরায়েলের ‘পরাজয়’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনকি উগ্রপন্থি বেন গিভির হুমকি দিয়েছেন, যদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধ করে দেন, তাহলে তার জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাবেন তিনি।