বিচার বিভাগে সংস্কার ঠেকাতে আবারও রাস্তায় নেমেছেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থি জোট সরকার ‘বিতর্কিত’ বিচারিক সংষ্কার বিল পাশ করানোর চেষ্টা করছে।
এই বিলটি পাশ হলে— সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, সেটি পরিবর্তন করার ক্ষমতা থাকবে না বিচার বিভাগের। এছাড়া বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে জড়ো হন ইসরায়েলিরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা জানান এ সংস্কার যেভাবেই হোক ঠেকাবেন।
বিচার বিভাগ সংস্কারের এ বিলটি আইনে পরিণত হতে তিনটি ধাপ পার হতে হবে। প্রথম ধাপে ইতোমধ্যে এটি অনুমোদিত হয়েছে। এখন আরও দুটি ধাপে অনুমোদন পেতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, যদি সরকার সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যায়— তাহলে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবেন। এরমধ্যে ইসরায়েলের জাতীয় শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান আরনন বার-ডেভিড বলেছেন, সরকার যদি এ বিল পাশ করা থেকে সরে না আসে তাহলে তারা সর্বত্র সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেবেন। আর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যদি ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়— তাহলে এটি ইসরায়েলের অর্থনীতিকে থমকে দিতে পারে।
গত মার্চে বিক্ষোভকারীদের চাপে নেতানিয়াহু বিলটি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন। ওই সময় ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। যা নেতানিয়াহুকে এ ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছিল।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে নিলি এলেরজা নামের এক নারী বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য যুদ্ধ। আমরা চাই ইসরায়েল গণতান্ত্রিক থাকুক এবং স্বৈরতন্ত্র এখানে পাশ হবে না। এই আইন পাশ হলে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক অবস্থানের ক্ষতি করবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সবকিছু খারাপ হবে। মানুষ এখনই চলে যাচ্ছে, অর্থ ফুরিয় যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা চলে যাচ্ছেন, বিশ্ব আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না, যা হচ্ছে তা নিয়ে কেউ খুশি নয়।’
এদিকে রাজধানী তেল আবিবে যখন বিক্ষোভ চলচিল তখন পানিশূন্যতাজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তবে তিনি আজ সোমবারই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যাবেন।