লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় নবতিয়েহ শহরে ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিশোধ নিতে ইহুদিবাদী দেশটিতে অর্ধ শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে হিজবুল্লাহ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ হামলায় লেবাননের আরো ৫ বেসামরিক নাগরিক গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর আরব নিউজের।
ইসরায়েলের ওই হামলার পরই এর কড়া জবাব দেয় লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে ৫৫টি রকেট নিক্ষেপ করে।
তবে, লেবাননের হামলায় কতোজন ইসরায়েলি হতাহত হয়েছে তা জানা যায়নি। হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের একটি শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং একটি বনাঞ্চলে আগুন ধরে গেছে।
এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) লেবাননের একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অস্ত্র মজুদ করে রাখা একটি গুদামে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা।
গত মাসে অধিকৃত গোলান মালভূমির একটি ফুটবল মাঠে রকেট হামলায় ১২ শিশু-কিশোরের মৃত্যুর পর লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
হিজবুল্লাহর অবশ্য ওই রকেট হামলার দায় ইসরায়েলের ওপরই চাপিয়েছে। কারণ, ফুটবল মাঠে নিহত সবাই আরব মুসলিম। তারা ইসরায়েলের নাগরিক হলেও সংখ্যালঘু মুসলিম পরিবাবের সন্তান।
এর পর ৩১ জুলাই তেহরান সফররত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হন। ইরান এ হত্যাণ্ডের জন্যও ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। যদিও, হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা ইসরায়েল স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি।
এর পর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ, বড় ধরণের হামলার হুমকি দিয়ে আসছে ইরান ও লেবানন।