আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবেই স্বীকার করি না। তাই সে দেশে কোনো বাংলাদেশি গেলে শাস্তি পেতে হবে- এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সরকারি অনুমতি না নিয়ে বাংলাদেশি কেউ ইসরায়েলে গেলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার (২৬ মে) ফিলিস্তিনকে জরুরি মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক- এমডি এবাদুল করিম।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ছাড়া) শব্দ তুলে দেয়ার ঘটনায় অনেকেই মনে করছেন, এখন থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ইসরায়েল যেতে আর কোনো বাধা থাকবে না। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড একসেপ্ট ইসরায়েল’। এখন নতুন ই-পাসপোর্টে সংশোধন করে লেখা হচ্ছে ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।
এর মূল কারণ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যাও দিয়েছে। বলেছে, পাসপোর্টকে আন্তর্জাতিক মানের করতেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা তাদের পাশে থেকেছি। আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না। যতদিন আমরা স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সে দেশে যেতে পারবে না। কোনো বাংলাদেশি সেখানে গেলে শাস্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম পাসপোর্ট সংশোধন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে ইসরায়েল নিয়ে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট; ফিলিস্তিন নীতিতে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।’ অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ সামগ্রী উপহার দেয়া হয়। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে অন্তত ২৩২ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় দুই হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার হাজার হাজার মানুষ।