আইরিশ পার্লামেন্ট এমন সময় এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যখন বিশ্বের চোখের সামনে এখন গাজায় গণহত্যা চলছে। পালনে বাধ্যবাধকতা নেই এমন ধরনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আইরিশ সরকারকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক ভ্রমণ এবং কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বলা হয়েছে। খবর মেহের নিউজের।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এর আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের মামলায় যেকোনো সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে ডাবলিনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন।
কিছুদিন আগেই আইরিশ সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
আয়ারল্যান্ডের এই পদক্ষেপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর বাইরে সংঘটিত হয়, যখন এই ইউনিয়নের ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সমর্থকরা এই ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যার বাণিজ্যের পরিমাণ গত বছর প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে এই বছরের শুরু থেকে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইসরায়েলের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং এটিকে সমর্থন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে পররাষ্ট্র নীতির দায়িত্বে থাকা জোসেফ বোরেল।
কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে সমর্থনকারী দেশগুলো বিশেষ করে অস্ট্রিয়া এবং জার্মানি এই পদক্ষেপে বাধা সৃষ্টি করে।
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছেন।