রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলে গাজা-সংঘাতের প্রভাব পড়ছে। ইসরায়েলিদের খোঁজে বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে সাধারণ জনতা। রাশিয়ার মুসলিম প্রধান দাগেস্তান অঞ্চলের রাজধানী মাখাচকালার বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার পর রাশিয়ার পুলিশ বিমানবন্দরটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে সেখান থেকে ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির
খবরে বলা হয়েছে, দাগেস্তানে খবর রটে যায় যে ইসরায়েল থেকে একটি বিমান এসেছে। তারপরেই মুসলিম-অধ্যুষিত এই এলাকায় প্রচুর মানুষ বিমানবন্দরে ঢুকে ইসরায়েলিদের খোঁজ করতে থাকেন।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট জানিয়েছে, তেল আভিভ থেকে একটি বিমান এসেছিল। প্রচুর মানুষ ইহুদি-বিরোধী স্লোগান দিয়ে বিমানের দিকে ধেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষ ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়ছেন।
ভিডিওতে আরো দেখা গেছে, কিছু মানুষ টার্মিনালের দরজা ভেঙে রানওয়ে পর্যন্ত চলে যান। অন্যরা যে সব গাড়ি বিমানবন্দর থেকে বেরোচ্ছিল, সেগুলি চেক করতে শুরু করেন। প্রচুর মানুষ বিমানবন্দরে ঢুকে যান। বিমানবন্দরটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। বিমানগুলিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সরকারিভাবে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আইনরক্ষকরা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে ইসরায়েল আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন ইসরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপদে রাখার জন্য ব্যবস্থা নেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের আশা দাঙ্গাকারী ও উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে রাশিয়া কড়া ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার আগে হাঙ্গামায় ২০ জন আহত হন। তবে ইসরায়েল থেকে আসা উড়োজাহাজের যাত্রীরা সুরক্ষিত ছিলেন বলে নিরাপত্তা বাহিনী রয়টার্সকে জানিয়েছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলে আরও বেশ কিছু ইসরায়েলবিরোধী ঘটনা ঘটেছে।