কে বসবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে— তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। এর আগে সাধারণ সম্পাদকের ওই চেয়ারে বসতে পারবেন না জায়েদ খান বা নিপুণ আক্তারের কেউ-ই। কিন্তু এরমধ্যেই শনিবার সেই চেয়ারে বসে মিটিং করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ, যার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণসহ ১১ জন উপস্থিত ছিলেন।
এবার সেই মিটিংকে অবৈধ উল্লেখ করে তাতে উপস্থিত ওই ১১ জনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। এ চিত্রনায়কের পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী তানভীর হোসেন খান। নোটিশপ্রাপ্ত ১১ জন হলেন – সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মিটিং আয়োজন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য অসৎ। সেইসাথে তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়েরও লঙ্ঘন করেছে। ২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিরণী বাতিল করে সকল নোটিশগ্রহিতাকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে নিপুণকে আর কোনো মিটিংয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়। গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নিপুণকে মিটিংয়ে না নেয়ার এই অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে।
একইসঙ্গে নোটিশ গ্রহিতাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে তার লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যতায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে। উল্লেখ্য, চূড়ান্ত রায়ের আগে নিপুণের সমিতির চেয়ারে বসা নিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার তৈরি হয়। অনেকের মতে, আদালত অবমাননা করেছেন নিপুণ। আইনি সমাধান না হতেই নিপুণ কীভাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন? প্রশ্ন তাদের।
এ বিষয়ে জবাবও দেন নিপুণ। তার ভাষ্যে, চেয়ারে বসা মূখ্য নয়। একজন শিল্পী হিসেবে সেদিন সমিতির মিটিংয়ে হাজির হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। গণমাধ্যমের কাছে নিপুণ বলেন, ‘একটা সংগঠন পড়ে থাকলে হবে না। আমি যেটা করছি, সেটা আপনি হলেও করতেন। আজ শিল্পী সমিতিতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, মিজু আহমেদ ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী, দিতি আপার মৃত্যুবার্ষিকী, সংগঠনের এসব কাজ করতে হবে না? শুধু দূর থেকে মামলা মোকাদ্দমা নিয়ে কথা বললেই হবে? সামনে আসছে রোজা। বেশ কয়েকজনের নিয়মিত খাবার আয়োজন করতে হবে, কর্মচারীরা আছে। শিল্পীরা রয়েছে, যাদের দেখতে হবে। এভাবে সমিতি থামিয়ে রাখলে হবে? সমিতি চলছে আমি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’