আজ রোববার মধ্যরাত থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর—মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে দেশে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরণ করা হয়েছে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে।
বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তাঁরা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে দুই হাজার আশি মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশি এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবদুল লতিফ বকশি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির শর্তে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে; এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব-কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।