প্রাকৃতিক কারণে ইলিশের প্রজনন মৌসুম পিছিয়ে গেলেও মা ইলিশ রক্ষার নিধেষাজ্ঞার সময় না পেছানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলে, আড়তদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে সরকার। তাই এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করেছে বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল।
টুটুল বলেন, সমুদ্র উত্তাল থাকায় জেলেরা ইলিশ শিকারে যেতে পারছে না। পাশাপাশি নদীও ইলিশ শূন্য। এই দূরাবস্থার কারণে তারা ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তণসহ নানান কারণে ইলিশের পেটে ডিম আসার সময়ও পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষার অভিযান শুরু হলেও বর্তমানে ইলিশের পেটে ডিম নেই। তাই অন্তত এক মাস সময় বাড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে ক্ষতির মধ্যে থাকা ইলিশ ব্যবসায়ীরা আরও নিঃস্ব হয়ে যাবে। ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ শিল্প।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছরের চেয়ে এবছরই সব থেকে কম ইলিশ মাছ পরেছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার কারণেও ইলিশ সংকটে লোকসান গুণতে হচ্ছে। তার উপরে যে সময়টায় মাছ নদীতে প্রবেশ করবে সেই সময় থেকেই ইলিশ ধরায় ২২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ইলিশের পেটে ডিমের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
কারণ প্রাকৃতিক কারণে ইলিশের পেটে ডিম আসার সময় প্রতিবছর পরিবর্তন হয়। তাই এই নিষেধাজ্ঞার দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে ইলিশ সংশ্লিষ্টরা আরও ক্ষতির মুখে পরবে। তাছাড়া আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের ইলিশ রপ্তানী কার্যক্রম চলবে। তাই দেশের ইলিশ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কল্যাণে সময় পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। এসময় ইলিশের জেলে, আড়তদারসহ মাছ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।