ইরান সামরিক শক্তিতে ইসরায়েল থেকে শক্তিশালী। জায়নবাদী ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই ইরানের সামরিক বাহিনীর সমকক্ষ নয়। ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক গোলাবারুদের জন্য পশ্চিমাদের ওপর নির্ভরশীল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন যে তারা ইরানের ওপরে হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছেন। এমনকি এ ব্যাপারে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। ইসরাইলের সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের জবাবে ইরানের সেনাপ্রধান তার দেশের সামরিক শক্তির কথা তুলে ধরলেন।
জেনারেল মুসাভি বলেন, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইরানের ওপর হামলার হুমকি দিয়ে মূলত তার দেশের সেনাদের মনবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন এবং এই মুহূর্তে জায়নবাদী দেশটি যে অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলা করছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর কৌশল অবলম্বন করেছেন।
ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, যারা দুই পক্ষের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখে, তারা বুঝতে পারবে যে ইসরায়েলের সর্ব-সাম্প্রতিক সামরিক সক্ষমতা এবং সেনাবাহিনীর আকার বড়জোর ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইরানের যে শক্তি ছিল তার সমান হতে পারে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
জেনারেল মুসাভি বলেন, ডুবন্ত ইসরায়েলের পতনের লক্ষণ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং তারা এতটাই দুর্বল যে তাদেরকে ইরান নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবেই মনে করে না। ইসরায়েলি নেতাদের কর্মকাণ্ড তাদের পতনকে শুধুমাত্র ত্বরান্বিত করবে বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল মুসাভি।