হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির স্থলাভিষিত্ত হচ্ছেন দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের।
সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার কথা ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের হলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির।
সংবিধানের ১৩১ ধারা অনুযায়ী এই পদে মোহাম্মদ মোখবেরকে অনুমোদন দেয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা অনুমোদন বা নিশ্চয়তা দিলে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আসবেন। তাকেই বাকি সব কর্মপ্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমান ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের বয়স ৬৮ বছর। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে তিনিই হচ্ছেন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট। তার নেতৃত্বে স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধান মিলে প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
মোহাম্মদ মোখবেরের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তাকে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির খুব ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়।
পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের যেসব ব্যক্তি ও এনটিটির বিরুদ্ধে ২০১০ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার মধ্যে মোহাম্মদ মোখবের অন্যতম। তবে দু’বছর পরে ওই তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয় ইইউ।
২০১৩ সালে সেতাদ এবং ৩৭টি ইরানি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নির্দেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেতাদ।