আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশের শীর্ষ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ইরান তার আচরণ পরিবর্তন করলে এই পরমাণু চুক্তি আবার কার্যকর করা হতে পারে। বিবৃতিতে তারা আন্তরিকতার সাথে আলোচনায় বসার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা শনিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এ নিশ্চয়তা পেতে চাই যে ইরান কখনো চুক্তি লঙ্ঘন করবে না।
ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী নভেম্বরে ভিয়েনায় সপ্তম দফা আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনা শুরুর আগে পাশ্চাত্য ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক উদ্দেশ্যে পরমাণু তৎপরতার অভিযোগ এনে তেহরানের ওপর মনস্তাত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের মূল লক্ষ্য আসন্ন বৈঠকে ইরানের কাছ থেকে আরও ছাড় আদায় করা। ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে সেজন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের ৬ শক্তিধর দেশ।
কিন্তু ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘বাজে চুক্তি’ উল্লেখ করে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেয়। এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে, এখনও এই চুক্তির গুরুত্ব আছে। কারণ এই পরমাণু চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক তদারকিতে রাখা।
গত বছর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ইরান ঘোষণা করে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তার কোনটিই তারা আর মেনে চলবে না। এরপর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইরান পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করছে বলে খবর বেরিয়েছে। সম্প্রতি ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতা থেকে ইরান আর মাত্র ২ মাস দূরে আছে। জাতিসংঘের পরমাণু তদারক সংস্থাও সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।