এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার পর পর ইসরায়েলে উচ্চসতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড সব স্কুল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বের না হতেও নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোরদো, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহান।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে-খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’
ট্রাম্প একটি ওপেন-সোর্স ইন্টেলিজেন্স একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা নাই হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ফোরদোতে একটি পূর্ণ পেলোড নিক্ষেপ করা হয়েছে। সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বের আর কোনো সামরিক বাহিনী এটি করতে পারেনি। এখন শান্তির সময়! এই বিষয়ে আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানে হামলায় ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, ট্রাম্প দুই সপ্তাহের মধ্যে তা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর পরই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা: ট্রাম্প কি সত্যিই শান্তি চান, নাকি নতুন করে যুদ্ধের ময়দান তৈরি করছেন। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ইরান বরাবর বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘শান্তিপূর্ণ’। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো বলছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। একই বক্তব্য ইসরাইলেরও।