ইসলামাবাদের বানি গালার বাসা থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাকিস্তানের সদ্য-ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেতেন হেলিকপ্টারে। ক্ষমতার ৩ বছর ৮ মাসে ইমরান খানের এই বিমান যাতায়াতের পেছনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৫০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
বুধবার পাকিস্তানের নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হেলিকপ্টারে করে অফিসে যাতায়াতের ব্যয়ের এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি বলছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান খান প্রায় প্রত্যেক দিন তার দফতরে যেতেন। বাসা থেকে অফিসে যেতে হেলিক্প্টার ব্যবহার করতেন তিনি। তার এই যাতায়াতে হেলিকপ্টারের জ্বালানি কেনার জন্য ওই অর্থ ব্যয় হয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পরপরই প্রত্যেকদিন বাসা থেকে অফিসে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ইমরান খান। সেই সময় খানকে বহনকারী বিমানের প্রত্যেক কিলোমিটারে মাত্র ৫৫ রুপি খরচ হতো বলে সাফাই গেয়েছিলেন তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
তবে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রীর দাবি প্রত্যাখ্যান করে মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ইমরান খানের হেলিকপ্টারে যাতায়াতের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ ব্যয়ের যে চিত্র তিনি প্রকাশ করেছেন, তার নথিপত্র রয়েছে।
ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন দেশটির সাবেক সরকার পাকিস্তানের জ্বালানি খাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ রেখে গেছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। শুধুমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাস খাতেই এই ঋণের পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার প্রত্যেক মাসে ১৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে। ইমরান খানের সরকারের শেষ সময়ে নেওয়া নানা পদক্ষেপ বর্তমান সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।