মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে ইবি থানায় এই মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. তারেক। এর মধ্যে ইবি থানায় আটক থাকা ৫ শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ‘চালান’ করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৩২৩, ৫০৬ নং ধারা অনুযায়ী মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শেহান শরীফ শেখ, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল ও ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া। এর মধ্যে, সাব্বির, শেহান শরীফ, শরিফুল, কান্ত বড়ুয়া ও সঞ্চয় বড়ুয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. আকতার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, মামলার পর পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় লালন শাহ হলের গণরুমে ভুক্তভোগীদের র্যাগিং শুরু করে। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে হলের অন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে রাতেই ইবি থানা পুলিশের হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীদের একজন দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ পাঁচ জনকে কুষ্টিয়া আদালতে প্রেরণ করে।