নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির সঙ্গে থাকা যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বাধীন নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’। বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও যুক্তফ্রন্টের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এই ঘোষণা দেন।
এর আগে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে নতুন জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘যুক্তফ্রন্ট’। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে এই জোট ঘোষণা করেন জোট প্রধান ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
কল্যাণ পার্টি ছাড়া এই জোটে রয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।
গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১০ দফার ভিত্তিতে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি। গত ১২ জুলাই থেকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলনে নামে দলটি। ৪২টির মতো দল যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপিসহ আটটি নিবন্ধিত দল রয়েছে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করেই ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে যুগপতের শরিকদের। তবে কিছুদিন ধরে যুগপতের নিবন্ধিত একাধিক দল বিএনপিকে ছেড়ে নির্বাচনে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন ওঠে। এতে নিবন্ধিত দলগুলো নিয়ে যুগপৎ জোটে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়তে থাকে। এমন প্রেক্ষাপটে এমপিত্বের প্রলোভনে পা না দিতে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় যুগপতের শরিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী হলে ‘জাতীয় সরকারে’ শরিকদের যোগ্যতা অনুযায়ী যথাযথ মূল্যায়নেরও আশ্বাস দেওয়া হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার গুঞ্জনই সত্যি হলো। আর এর মধ্য দিয়ে যুগপৎ জোটে ভাঙনও দৃশ্যমান হলো।