মঞ্চ, টিভি ও সিনেমা; সবখানেই দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করে আসছেন ইন্দ্রাণী হালদার। অভিনয় তার ধ্যান-জ্ঞান। কখনো ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, আবার কখনো ‘শ্রীময়ী’ হিসেবে দর্শক মনে রাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এত সাফল্য সত্ত্বেও ইন্দ্রাণী হালদারের জীবনে একটা বড় আক্ষেপ রয়ে গেছে। বছর কয়েক আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘অপুর সংসার’-এ হাজির হয়েছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘শুধু ক্যারিয়ার…কাজ আর কাজ, দায়িত্ব পালন করতে করতে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যে খুব আফসোস। ভাস্কর (অভিনেত্রীর স্বামী) মাঝে মাঝে বলে, সারা জীবন দায়িত্ব পালনই করে গেলে সংসারের জন্য।’
হৃদয় দিয়ে অভিনয়কে এভাবে লালন করার বহু পুরস্কার ও স্বীকৃতি এক জীবনে তিনি পেয়েছেন। তবে এবার দারুণ এক সম্মাননা জুটলো তার ভাগ্যে। ইন্দ্রাণীর নামে ভারতীয় ডাক বিভাগ ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেল, নববর্ষের আগে সম্মানিত হলেন সাত বাঙালি। বুধবার ভারতীয় ডাক বিভাগ সাত বাঙালি ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করল তাদের নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানের নাম ‘সপ্তপর্ণী’। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, পিসি সরকার, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী হালদার, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত তন্ময় বোসু এবং সত্যম রায়চৌধুরী এই সম্মানে ভূষিত হলেন।
সেদিন বিকেলে এ উপলক্ষে বসেছিল চাঁদের হাট। আমন্ত্রিত তারকাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয় তাদের নামাঙ্কিত ডাকটিকিটের। দীর্ঘ দিন বড় এবং ছোট পর্দায় অভিনয়ের সুবাদে এই বিশেষ সম্মান পেয়েছেন ছোট পর্দার শ্রীময়ী ইন্দ্রাণী হালদারও।
প্রায় আড়াই বছর ধরে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন ইন্দ্রাণী। ছোট পর্দায় তার আত্মপ্রকাশ জোছন দস্তিদারের ‘তেরো পার্বণ’ দিয়ে। বড় পর্দায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে প্রথম ছবি ‘মন্দিরা’।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি অভিভূত এই বিশেষ সম্মান পেয়ে। রাষ্ট্র তার কয়েক দশকের অভিনয়ের স্বীকৃতি এভাবে জানাবেন তা তিনি ভাবতেও পারেননি।