আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে না খেতে পেয়ে ৮৬০ জন মানুষের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এসব মানুষ অনাহারে মারা গেছেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলো নিউজকে এ তথ্য জানান তাইগ্রে কমিউনিকেশন ব্যুরোর প্রধান রিদাই হালেফোম। তিনি জানিয়েছেন, বাস্তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ অনাহারে প্রাণ হারানো অনেকের নাম লিপিবদ্ধ করাও হয়নি।
তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং ‘আধুনিক তাইগ্রের ইতিহাসে অঞ্চলটি সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে।’
এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা না করায় অঞ্চলটিতে এখনো মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছেন।
তাইগ্রের আঞ্চলিক প্রশাসনের অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গেটাচু রেদা ডিসেম্বরের শেষ দিকে জানান, সেখানকার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। তাইগ্রেতে ১৯৮৪ সালের দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি হয়েছে। যে দুর্ভিক্ষে ইথিওপিয়ায় লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
তাইগ্রে অঞ্চলে ভয়াবহ যুদ্ধ এবং খরার কারণে এখন এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে অঞ্চলটির ৯১ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছেন।
গেটাচু রেদা জানিয়েছেন, ইথিওপিয়ার সরকারের সঙ্গে তাইগ্রের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ২০২২ সালের শান্তি চুক্তির পর সাধারণ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েন।
অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করায় গত বছরের ডিসেম্বরে তাইগ্রে অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে অন্তবর্তীকালীন আঞ্চলিক সরকার।