২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে লঙ্কা প্রিমিয়র লিগ। এ বার ছিল টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। এই আসরে এসে প্রথম বারের মতো এলপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যান্ডি। ডাম্বুলা অরা টিমকে ৫ উইকেটে সহজেই হারিয়ে ফাইনাল জিতে নেয় ক্যান্ডি। প্রথমে ব্যাট করে ডাম্বুলার ব্যাটাররা ১৪৭ রান তোলেন। ১৯.৫ ওভারে এই রান তাড়া করে জিতে যায় ক্যান্ডি।
এদিকে ইনজুরির জন্য হাসারাঙ্গা ছিলেন না ফাইনালের একাদশে। এরপরও ইতিহাস গড়েন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। ফ্রাঞ্চাইজি কোনও টুর্নামেন্টের আসরে সব ধরনের ক্যাটাগরির পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা। এই আসরে তার ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স এলিমিনেটর এবং কোয়ালিফায়ার ২ জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠে তার দল। অপরদিকে এই দুই ম্যাচের ম্যাচ সেরা হনও তিনি।
ফাইনাল ম্যাচ না খেলতে পারলেও লঙ্কা অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার কাছে ২০২৩ লঙ্কা প্রিমিয়র লিগ স্মরণীয় হয়ে রইল। চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত অনবদ্য পারফরম্যান্স তাঁর। ফাইনালে ক্যান্ডির জয়ের পর মোট ছয় বার পুরস্কার নিতে মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয় হাসারাঙ্গাকে।
টুর্নামেন্টে হাসারাঙ্গার সার্বিক পারফর্ম্যান্স:-
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম এলপিএল জয়। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে৯টি ইনিংসে ব্যাট করে সব থেকে বেশি ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছেন। সেই সঙ্গে ১০টি ইনিংসে বল করে সব থেকে বেশি ১৯টি উইকেট পকেটে পুরেছেন তিনি। এর পাশাপাশি লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের চতুর্থ সিজনে সর্বাধিক ছয় হাঁকানোর পুরস্কারও পেয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
সর্বকালীন রেকর্ড হাসারাঙ্গার:-
লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের এক মৌসুমে সব থেকে বেশি ১৯টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এর আগে আর কোনও মৌসুমে কোনও বোলার ১৮টির বেশি উইকেট নিতে পারেননি। ২০২২ সালে কার্লোস ব্রাথওয়েট ১৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। হাসারাঙ্গা ভেঙে দিলেন ক্যারিবিয়ান তারকার রেকর্ড।