ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে পেরিয়ে গেছে ৩৬টি বছর। এর মাঝে স্বাদ নেওয়া হয়নি বিশ্বকাপের। এমন হিসেব-নিকেশ নিয়ে মরুর দেশে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তবে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে সেই আশায় গুড়ে বালি হয়েছিল আলবিসেলিস্তাদের। কিন্তু সেই দৃশ্যপট বদলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেসিরা।
এদিকে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার জুড়ে কি নেই! ক্লাব ফুটবলে এমন কিছুর অর্জন নেই যেটা মেসির নেই। বার্সেলোনার হয়ে স্পেনে হয়েছেন সর্বজয়ী। এরপরে ফ্রান্সেও পিএসজিকে জিতিয়েছেন লীগ ওয়ান শিরোপা। গোল্ডেন বুট, বেস্ট প্লেমেকার অ্যাওয়ার্ড তো আছেই, জিতেছেন রেকর্ড গড়া সর্বোচ্চ সাতবার ব্যালন ডি’অর। অপরদিকে এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক রেকর্ড গড়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন এলএমটেন। তাছাড়াও আজ ফাইনালে মাঠে নেমেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে অনন্য রেকর্ড গড়লেন ৩৫ বছর বয়সী লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড
ইতিমধ্যে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলারের নামের পাশে ভাগ বসিয়েছেন এলএমটেন। ৫টি বিশ্বকাপে মোট ২৫টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ম্যাথাউসের। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে জার্মানীর হয়ে খেলেছেন তিনি। আজ ফাইনালে মাঠে নেমেই ২৬টি ম্যাচ খেলার মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন এই পিএসজি তারকা।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলার রেকর্ড:
ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো মালদিনি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলেছেন। ২২১৭ মিনিট বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন এই ইতালিয়ান। অপরদিকে লিওনেল মেসির সেই সংখ্যাটি ২১৯৪ মিনিট। আজ ফাইনালে ২৩ মিনিট খেলেই এই রেকর্ড নিজের করে নিলে এই ক্ষুদে জাদুকর।