পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় গ্রেফতার ইকবাল হোসেন নামের ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তিনি কোরআন অবমাননার বিষয়টি স্বীকার করলেও তাকে দিয়ে কে কাজটি করিয়েছেন, তা বলছেন না। একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন।
ইকবাল কুমিল্লা শহরেরই বাসিন্দা, তবে ‘ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত’। পুলিশ সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল একেক সময় একেক তথ্য দিয়েছেন। কোনো প্রশ্নেরই সদুত্তর দেননি। ইকবালকে শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনসে আনা হয়। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা এবং প্রতিমা থেকে গদা সরানোর বিষয়টি স্বীকার করেন ইকবাল।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ইকবাল কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইকবালের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ যাদের ঘনিষ্ঠতা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে গত ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে কুমিল্লা শহরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে বেশ কয়েকটি মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার জের ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালীর চৌমুহনী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এ ঘটনায় পর্যন্ত আটটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে জামায়াতের তিন কাউন্সিলর, বিএনপির কয়েকজন কর্মীসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।