শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে চলতি ইউরো কাপের নকআউট তথা শেষ ষোলোর খেলা। তবে এর আগে প্রথম রাউন্ডেই আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে এবারের ইউরো। তাও কি না আগের যেকোনো আসরের ৫টি বেশি আত্মঘাতী গোল হয়েছে এবার, শুধু প্রথম রাউন্ডেই। ছয় গ্রুপের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ২৪ দল, খেলেছে ৩৬ ম্যাচে। এই ৩৬ ম্যাচে সবমিলিয়ে গোল হয়েছে ৯৪টি। যার মধ্যে আত্মঘাতী গোলই ছিল ৯টি। ইউরো কাপের যেকোনো আসরে সর্বোচ্চ আত্মঘাতী গোলের রেকর্ড এটিই।
এর আগে সর্বোচ্চ ৩টি আত্মঘাতী গোলের দেখা মিলেছিল ২০১৬ সালের ইউরোতে। সেবার তিন ম্যাচে হয়েছিল এ তিন আত্মঘাতী গোল। আর এবার সাত ম্যাচেই হয়েছে ৯ আত্মঘাতী গোল। অর্থাৎ দুইটি ম্যাচে হয়েছে দুইটি করে আত্মঘাতী। এক ম্যাচে দুইটি করে আত্মঘাতী গোল করা দল দুইটি হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল ও স্লোভাকিয়া। জার্মানির কাছে ২-৪ গোলে হারার ম্যাচে পর্তুগাল ও স্পেনের কাছে ০-৫ গোলে উড়ে যাওয়ার ম্যাচে স্লোভাকিয়া করেছিল জোড়া আত্মঘাতী গোল।
ইউরো কাপের গত ১০ আসরে আত্মঘাতী গোল হয়েছে মোটে ৯টি। ১৯৭৬ সালের আসরে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম আত্মঘাতী গোল করেন চেকস্লোভাকিয়ার অন্তন অন্দ্রাস। পরের চার আসরে দেখা মেলেনি আত্মঘাতী গোলের। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০০ সালের আসরেও হয় একটি করে আত্মঘাতী গোল।
২০০৪ সালের আসরে প্রথমবারের মতো এক আসরে হয় দুইটি আত্মঘাতী গোল। তবে বিরতি পড়ে ২০০৮ সালে, হয়নি কোনো আত্মঘাতী গোল। ২০১২ সালের আসরে একমাত্র আত্মঘাতী গোল করেন ইংল্যান্ডের গ্লেন জনসন। আর গত আসরে হয় তিনটি আত্মঘাতী গোল। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে এবার প্রথম আসরেই মিলল ৮টি আত্মঘাতী গোলের দেখা। আসরের প্রথম গোলটিই ছিল মূলত আত্মঘাতী। ইতালির বিপক্ষে নিজেদের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন তুরস্কের মেরিহ দেমিরাল। সেটিই হয়তো বার্তা ছিল যে, এবারের আসর হতে যাচ্ছে আত্মঘাতী গোলের আসর।
এরপর স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে পোল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিপক্ষে জার্মানি হেরে যায় আত্মঘাতী গোলের কারণে। এরপরই আসে পর্তুগালের জোড়া আত্মঘাতী গোলের ম্যাচ। ফ্রান্সের কাছে আত্মঘাতী গোলে হেরে যাওয়া জার্মানি এবার পর্তুগালের বিপক্ষে পায় দুইটি আত্মঘাতী গোল। সবশেষ স্লোভাকিয়া-স্পেন ম্যাচে হয় দুইটি আত্মঘাতী গোল। এর আগে বেলজিয়াম-ফিনল্যান্ড ম্যাচে হয় আসরের সপ্তম আত্মঘাতী গোলটি।
গত দশ আসর মিলে ৯টি আর এবার প্রথম রাউন্ডেই ৮টি- আত্মঘাতী গোলের এ সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে তার উত্তর দেবে সময়। এখনও বাকি রয়েছে টুর্নামেন্টের ১৫টি ম্যাচ। এসব ম্যাচে আর কোনো আত্মঘাতী গোল না করার চেষ্টাই থাকবে দলগুলোর।