বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার নতুন আক্রমণের জন্য ঘাঁটি হিসেবে তার দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত আছেন তিনি। এক বছর আগে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন বেলারুশের মাধ্যমে ইউক্রেনের ভেতরে সৈন্য পাঠিয়েছিলেন।
লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তিনি আবারও একই আদেশ দিতে যাচ্ছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধে বেলারুশী সৈন্যরা সরাসরি অংশ নেবে না, বাইরে থেকে কোনও হামলা হলে তারা শুধু নিজ ভূখণ্ড রক্ষা করবে।
রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সাথে বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুকাশেঙ্কোর সাথে আলোচনার জন্য মিনস্কে গিয়েছিলেন।
গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে প্রথমবার এই দুই নেতা রাশিয়ার বাইরে সাক্ষাৎ করেন। লুকাশেঙ্কো একজন কর্তৃত্ববাদী নেতা। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি বেলারুশে ক্ষমতায় রয়েছেন।
কিন্তু ২০২০ সালে যে ভোটের মাধ্যমে তিনি পুনঃনির্বাচিত হন সেটি এতটাই ত্রুটিপূর্ণ ছিল যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার ফলাফলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
বিবিসির রাশিয়া বিভাগের সম্পাদক স্টিভ রোজেনবার্গ লিখেছেন, ডিসেম্বরের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কিছু বেলারুশী সামরিক বিমানকে সম্ভাব্য পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য নতুন করে সাজানো হয়েছে এবং রাশিয়া বিমানের ক্রুদের প্রশিক্ষণে সাহায্য করছে।
এর বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বেলারুশকে একটি এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়ার জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। তবে ইতোমধ্যে বেলারুশে কয়েক হাজার রুশ সৈন্য রয়েছে এবং সেখানে দু’দেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ মহড়া হয়েছে।