টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে ১০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
সংঘাতে ইউক্রেনে আহত হয়েছেন আরও ১৮ হাজার ৫০০ সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) অফিসের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মঙ্গলবার ভাষণ দেন ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও আমেরিকা অঞ্চলে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকা। সেখানে তিনি বলেন, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে হতাহতদের মধ্যে শত শত শিশুও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চলমান এই যুদ্ধে হতাহতের সম্পূর্ণ সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, কারণ সহিংসতা শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। বরং আসন্ন শীত মৌসুমে বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।’
জেনকার মতে, যুদ্ধকালীন দ্বিতীয় এই শীতের হামলার প্রভাব লাখ লাখ ইউক্রেনীয়দের জন্য ‘ভয়াবহ’ হবে।
রাশিয়ার কর্মকর্তাদের ‘তথাকথিত’ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ইউক্রেনীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক পরিচয় পরিবর্তন বা কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নেওয়া এসব নীতির পরিণতি সুদূরপ্রসারী এবং এগুলো অগ্রহণযোগ্য।’
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইউক্রেনের ওপর ‘তার ফোকাস বজায় রাখার’ এবং যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন মিরোস্লাভ জেনকা।