ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এমন মন্তব্য করেছেন। এ সময় তিনি জানান, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিলে দেশটি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
শনিবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘নিরাপত্তার জন্য শত্রুদের হুমকি ঠেকাতে যেকোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।’
জাভেজদা টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে সাবেক এ রুশ প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া এমন মার্কিন চাপের পরেও আলোচনার পরিবর্তে প্রতিশোধমূলক হামলা করবে।’
মেদভেদেভ বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে কোনো আলোচনা হবে না। তবে ইউক্রেনে শুধুমাত্র প্রতিশোধমূলক হামলা হবে। কিয়েভের শাসনের অধীনে থাকা পুরো ইউক্রেন পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেন্টাগনের কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউস এবং ক্যাপিটলের (মার্কিন পার্লামেন্ট) সদস্যদের চেয়ে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। কারণ তারা এসব কর্মকাণ্ডের পরিণতি বোঝেন। যুক্তরাষ্ট্রের উস্কে দেওয়া এ যুদ্ধ যদি থামাতে হয়, তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের অঙ্গুলি হেলনই যথেষ্ট। ওই অঙ্গুলি হেলনের ফলেই আমেরিকান ক্রীতদাসরা (ইউক্রেনীয়রা) আলোচনার টেবিলে বসবে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনে ওয়াশিংটনের বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা এবং কংগ্রেসের আগ্রাসী ব্যক্তিরা সহজভাবে এই বিষয়ে আগ্রহী নন।’
মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়াতে আক্রমণ চালায়, তবে তাদের ওপর যেকোনো ধরনের পাল্টা হামলা আসবে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা যেকোনো মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।