মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা করলে এর কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে ইউক্রেনকে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ অনুমোদনের দু’দিনের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার বিষয়ক ডিক্রিতে স্বাক্ষর করলেন পুতিন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) যুদ্ধের এক হাজারতম দিবস পার করছে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ দিনেই তিনি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুতিনের মুখপাত্র এবং রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ।
নতুন এই ডিক্রিতে বলা হয়েছে, যেসব দেশের পরমাণু অস্ত্র নেই, তাদেরকে যদি তৃতীয় কোনো দেশ বা পক্ষ এ ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র প্রদান করে- সেক্ষেত্রে সেসব দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।
পেসকভ আরও বলেন, রাশিয়া সবসময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার বিপক্ষে, আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, জো বাইডেনের অনুমতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নতুন এই ডিক্রি জারি করেছেন পুতিন। ক্রেমলিনের সংবাদ সম্মেলনে পেসকভও এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান না করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবিরের জেরে কয়েক বছর টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজে এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ অভিযানে প্রায় তিন বছরে উভয়পক্ষের লাখ-লাখ সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।