রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি কোনো দেশ ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে তবে তারা ‘বজ্রের মতো দ্রুত’ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। রাশিয়ার আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গে আলোচনার সময় এ কথা বলে পুতিন। খবর বিবিসির। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের কাছে সব সরঞ্জাম রয়েছে… আমরা সেগুলো ব্যবহার করব যদি প্রয়োজন হয়।
তিনি হয়তো অস্ত্রাগারে থাকা ব্যালিস্টিক মিসাইল অথবা পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, যদি বাইরে থেকে ইউক্রেনে কেউ হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে এবং রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি তৈরি করে তখন আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে ‘বজ্রের মতো দ্রুত’। পুতিন বলেন, আমাদের হাতে সব ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। প্রয়োজন হলেই আমরা তা ব্যবহার করব।
রাশিয়ার নেতা জানান, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। তবে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। রাশিয়া ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসন শুরু করে। এর পর তিনি তার পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এ ধরনের সতর্কতা ইউক্রেনের মিত্রদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইউক্রেনের মিত্ররা সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, ইউক্রেন রাশিয়াকে পরাজিত করবে তা নিশ্চিত করার। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ে রাশিয়ার যে লক্ষ্য রয়েছে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর গত সপ্তাহে রাশিয়া দোনবাস দখলে ব্যাপক হামলা শুরু করে।
কিন্তু এক কর্মকর্তার মতে, রাশিয়ার সেনারা ‘ইউক্রেনের সেনাদের প্রতিরোধের মুখে তাদের কঠিন পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করেছেন এবং তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।’ এর মধ্যে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় মস্কো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ইউরোপীয় কমিশনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে।
কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, এটি সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়া কতটা ‘অনির্ভরযোগ্য’ তা দেখিয়েছে। জবাবে ক্রেমলিন বলছে, রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের’ কারণে এমন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় গ্যাজপ্রম।