ওই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ ব্যক্তি ও দুই জন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করা ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দ্রুত একটি শান্তিচুক্তিতে রাজি হতে তিনি মস্কো ও কিয়েভকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক সত্ত্বেও ক্রেমলিন এখন পর্যন্ত বড় কোনো ছাড় দিতে রাজি হয়নি।
২০২২ সালে ইউক্রেনের ওই চার অঞ্চলকে রাশিয়া অবৈধভাবে নিজের সীমানার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মার্কিন কৌশল বদলানোর বিষয়ে ট্রাম্প কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তার সিদ্ধান্ত ছাড়াই রুশ প্রতিনিধির সঙ্গে উইটকফের বৈঠকটি শেষ হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের ইস্যুতে উইটকফের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের মতবিরোধ ক্রমশ বাড়ছে। এ ব্যাপারে উইটকফের কার্যালয়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, পররাষ্ট্র দফতর, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাসের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল রয়টার্স। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে তিনি ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছেন। পাশাপাশি ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে যেসব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার অনেকগুলোই ট্রাম্প শিথিল করে দিয়েছেন।