ইউক্রেনজুড়ে নতুন করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর রাজধানী কিয়েভ, লভিভ, ওডেসা, ভিনিৎসিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) একসঙ্গে ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করে রুশ সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দেয় জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণার একদিন পর বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালালো রাশিয়া। এরআগে কিয়েভকে ট্যাংক দেওয়ার বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেছেন, ‘রাশিয়ার ছোড়া প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে।’
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইরানের তৈরি ২৪টি ড্রোন পাঠায় রাশিয়া। এর সবগুলোই ধ্বংস করা হয়েছে। ওই ২৪টি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি পাঠানো হয়েছিল রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের অঞ্চলে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। আর এসব হামলায় তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ ছাড়া দুর্বিষহ সময় কাটাতে হয়েছে সাধারণ ইউক্রেনীয়দের।
বৃহস্পতিবারের চালানো হামলাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ওডেসার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, নতুন হামলায় দু’টি বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ভিনিৎসিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টার একটু পর রাজধানী কিয়েভের রেল স্টেশনের কাছে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, রুশ হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
পশ্চিমাদের ট্যাংক পাঠানোর বিষয়টি যে রাশিয়া ভালোভাবে নেয়নি, নতুন হামলা তারই ইঙ্গিত বহন করে।
রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার বলেছে, পশ্চিমারা ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হয়েছে। আর এটি বেড়েই চলছে।