ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার মুখে বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন ৫০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়। দেশটির সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিরাপত্তা সহায়তার জন্য ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ অর্থের সহায়তা প্যাকেজে থাকছে- লেজার-নির্দেশিত রকেট সিস্টেম, অত্যাধুনিক ড্রোন, হামভি গাড়ি, রাতে দেখার চশমা, মেশিন গান এবং চিকিৎসা সামগ্রী।
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত কিয়েভকে ১.৬ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার জন্য একটি চুক্তি প্রক্রিয়ার শুরুর প্রতিনিধিত্ব করে ওয়াশিংটনের পাঠানো এই প্যাকেজ।
রুশ এবং বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং সামুদ্রিক খাতে ১২০টি সংস্থার ওপর গতকাল শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্দো বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত তাঁর দেশ এবং অর্থনীতিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। আজকের (শুক্রবারের) পদক্ষেপ সেই বিচ্ছিন্নতাকে আরো এগিয়ে নিয়ে গেছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে, ইউক্রেন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।