ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে বার্লিনের অলিম্পিয়া পার্কে মুখোমুখি হয়েছে স্পেন-ইংল্যান্ড। শিরোপার লড়াইয়ে বার্লিনে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথমার্ধের খেলা হলো বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে। পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউ। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমনে গোলের দেখা পায় স্পেন ও ইংল্যান্ড।ম্যাচের একটা সময় ধারণা করা হচ্ছিল ইউরোর ফাইনাল অতিরিক্ত সময়েই গড়াতে যাচ্ছে।
তবে স্পানিশিদের শেষ মুহূর্তের গোলে ইংলিশদের স্বপ্ন ভেঙ্গে ২-১ গোলের জয় ১২ বছর পর ইউরোর শিরোপা ঘরে তোলে লামিন ইয়ামালরা। আর তাতে
রেকর্ড চতুর্থ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলো স্প্যানিশরা।
অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে ওঠে স্পেন। ডি বক্সের ভেতর থেকে উইলিয়ামসের নেওয়া শট রুখে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার।
এরপরও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণ আটকে যায় অ্যাটাকিং থার্ডে। ১৫তম মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে কাইল ওয়াকার এগিয়ে গেলেও ঠিকঠাক ক্রস করতে পারেননি। প্রতিপক্ষের গায়ে লাগলে কর্নার পায় ইংলিশরা। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি সাউথগেটের দল।
এরপর বল দখলে এগিয়ে থাকা স্প্যানিশরা ২৮তম মিনিটে আক্রমণে যায়। ফ্যাবিও রুইজ গোলপোস্ট বরাবর শট করলেও গতি না থাকায় সেযাত্রায় সাফল্য পায়নি স্পেন।
যোগ করা সময়ে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন শট করলেও তা সহজেই তালুবন্দী করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। ম্যাচের বাকি সময়ে আরও বেশি কিছু আক্রমণ করলেও গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বিরতি থেকে ফিরেই ৪৭ মিনিটে লিড নেয় স্পেন। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে দারুন ফিনিশিং করেন নিকো উইলিয়ামস।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। যার ফল ও পেয়ে যায় ইংলিশরা। ৭৩ মিনিটে পালমারের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে সাউথগেটের দল।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ জমে উঠে লড়াই। ম্যাচ যখন গড়াচ্ছিলো অতিরিক্ত সময়ের দিকে তখন ৮৬ মিনিটে মাইকেল ওয়ারজাবালের গোলে ২-১ এর লিড নেয় স্প্যানিশরা। শেষ দিকে আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। তাতে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর ইউরোপ সেরার মুকুট নিজেদের করে নেয় স্পেন।