বাংলাদেশ আর ইংল্যান্ড সুপার টুয়েলভ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ভিন্ন দুই সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামবে। এই পর্বে বাংলাদেশ জয়ের খুব কাছে গিয়েও রীতিমতো ম্যাচ উপহার দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে । আজ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেভারিট ইংল্যান্ড। তবে প্রতিপক্ষর নাম বাংলাদেশ হওয়াতেই চাপা ভীতি ইংলিশ শিবিরে।
ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান জস বাটলার বললেন, ‘এটা অসাধারণ যে একটা বিশ্বকাপের শুরুতে এমন জয় পাওয়া। যদিও উইন্ডিজ কোনভাবেই তাদের সেরা ক্রিকেট খেলেনি। তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। সেখান থেকে বেশ ভালো একটা জয় পেলাম। এটা অবশ্যই বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে আমাদের। এখন সামনে বাংলাদেশ আছে। আমরা জানি ওরা বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষা করছে তবে এর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’
বাটলার বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে এখনো কোন টি-টোয়েন্টি খেলেনি ইংল্যান্ড। তবে অন্য দুই ফরম্যাটে পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও ছেড়ে কথা বলেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০১১, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশে কাছে হেরেই ফেভারিট ইংল্যান্ডের খালি হাতে ফিরতে হয়। দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ আর টেস্ট হারেরও মলিন স্মৃতি আছে থ্রি লায়ন্সদের।
বাংলাদেশ যে কতটা বিপদজনক সেটি শোনালেন বাটলার, ‘এটা সত্যি আমরা কখনো টি-টোয়েন্টিতে ওদের সঙ্গে খেলিনি। এজন্য চ্যালেঞ্জটাও বেশি থাকবে। ওদের টি-টোয়েন্টিতে খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে। দু-একজন বেশ ভালো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার। আমরা ওয়ানডেতে ওদের সঙ্গে খেলেছি, জানি ওরা বেশ বিপদজনক দল। আমরা বিপক্ষকে নিয়ে যেমন হোমওয়ার্ক করছি, তেমনি নিজেদের নিয়েও কাজ করছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা তৈরি।’
বাংলাদেশের পক্ষে কোন ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ডের জন্য হুমকি হতে পারেন সেটিও চিহ্নিত করে দিলেন বাটলার, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই স্পিন নির্ভর দল। ওদের বেশ কিছু ভালো স্পিনার আছে, যেমন সাকিব আল হাসান। সে কিন্তু উইকেট থেকে ভালো সুবিধা আদায় করতে পারে। মুস্তাফিজও বাঁহাতি বোলিংয়ে দারুণ। আবার ব্যাটিংয়ে মুশফিক আছে। শুধু তাই নয় ওরা একরকম ম্যাচ উইনারে ভরা।’