অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন স্টিভেন স্মিথ। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেললেন অজিদের এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আর তাতে ভর করেই বড় সংগ্রহ পেল অস্ট্রেলিয়া। আর পরে অজি বোলার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেও পারলেন না সেইসঙ্গে ৭২ রানের দারুণ জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৮০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ৬ষ্ঠ ওভারে মঈন আলীর বলে ডেভিড ওয়ার্নার (১৬) আউট হলে ভাঙে ৩৩ রানের ওপেনিং জুটি। অপর ওপেনার ট্রাভিস হেডও ১৯ রান করে আউট হন। তিনে নেমে ১১৪ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৯৪ রানের অসাধারণ কিন্তু আক্ষেপ জাগানিয়া ইনিংস খেলেন স্টিভ স্মিথ।
সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে স্মিথকে সল্টের তালুবন্দি করেন আদিল রশিদ। এই স্পিনারের অপর শিকার ৫৫ বলে ৫৮ রান করা মানার্স লাবুশানে। এছাড়া মিচেল মার্শ ৫০৯ রান করেন। ১০ ওভারে ৫৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ। ২টি করে নিয়েছেন ক্রিস ওকস আর ডেভিড উইলি।
রান তাড়ায় নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেসন রয় (০)। দলের স্কোরও তখন ০। অপর ওপেনার ফিল সল্ট ১৬ বলে ২৩ রানে হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে যান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মালান আজ ‘ডাক’ মেরেছেন! ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন স্যাম বিলিংস।
এছাড়া ৬০ রান করেছেন জেমস ভিন্স। আর কেউ ত্রিশের কোটায় যেতে পারেননি। অজি পেস এবং স্পিনের যৌথ আক্রমণের সামনে ৩৮.৫ ওভারে ২০৮ রানে অল-আউট হয় ইংল্যান্ড। ৪৭ রানে ৪ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। আর লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা নেন ৪৫ রানে ৪টি। বাকি দুই উইকেট জস হ্যাজেলউডের।